মাজেদুর রহমান( মাজদার), পুঠিয়া রাজশাহী প্রতিনিধি: একমি কোম্পনির ফাস্ট সিরাপ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিন থেকে উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে এ ধরনের ব্যবসা করায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে।

খোঁজনিয়ে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলা সদরসহ বানেশ্বর বাজার, ঝলমলিয়া বাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় বাজরের ফার্মেসিতে ফাস্ট সিরাপের মোড়কের গায়ে লেখা ২০টাকা ৬৯ পয়সা থাকলে ফর্মেসির মালিকেরা ৩২টাকা দাম ধরছেন।

তবে বেশির ভাগ ক্রেতারা তাদের বিষয়টি লক্ষ্য করছেন না। তবে সচেতন দুই একজন বিষয়টি টের পেয়ে ফর্মেসির মালিকদের কাছে মোড়কের গায়ে নিদ্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখার কারণ জনতে চাইলে তারা দাম বাড়ার অজুহাতে বেশি দাম নেওয়ার কথা জানান।

তবে বর্তমানে ফাস্ট সিরাপের মূল্য ৩৫ টাকা করা হয়েছে বলে আগের দামে কেনা সিরাপটি বেশি লাভের আশায় অনেকেই এ ধরনের কাজ করছেন। ক্রেতারা সিরাপটি ৩২ টাকার মূল্য নেওয়ার জন্য রশিদ চাইলে তখন তারা বর্তমানের ৩৫ টাকার মূল্যের সিরাপটি ধরিয়ে দিচ্ছেন।

উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের মৃত ভোগলের ছেলে আজিজুল ইসলাম ও ভুবন নগর গ্রামের মুনছুরের ছেলে মানিক অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন আগেই আমরা এই ফাস্ট সিরাপটি ২০ টাকায় কিনেছি। এখন তার দাম ৩২ টাকা নিচ্ছে ফার্মেসির মালিকেরা।

৩২টাকার রশিদ চাইলে তারা রশিদ না দিয়ে আমাদেরকে ৩৫ টাকা মূল্যের সিরাপটি ধরিয়ে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা একমি কোম্পনির বিক্রয় প্রতিনিধি আজাদ জানান, আমাদের ফাস্ট সিরাপের মূল্য ২০ টাকা থেকে বর্তমানে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। তবে পূর্বের দামে সিরাপগুলো পূর্বের নিদ্ধারিত মূল্যের বিক্রি করার কথা রয়েছে।

বর্তমানে যে কোম্পনির নির্ধারিত মূল্যে ফাস্ট সিরাপটি ফার্মেসিতে দেওয়া হচ্ছে তা এখনকার নিদ্ধারিত মূল্যে তারা বিক্রয় করবে বলে তিনি জানান।